*মহিষাদল প্রেস কর্নারের চতুর্থদশ বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে*
মহিষাদল প্রেস কর্নারের চতুর্থদশ বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে
*মহিষাদল প্রেস কর্নারের চতুর্থদশ বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে*
মহিষাদল প্রেস কর্নারের চতুর্থদশ বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি মহিষাদল রাজবাড়ির আম্রকুঞ্জে
*এবার টার্গেট মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করা- শুভেন্দু*
মহিষাদলঃ বিজেপিতে যোগদান করার পর আমাকে দুটি কাজ দেওয়া হয়েছিলো। একটি নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারানো সেটা আমি করে দিয়েছি। এবার দ্বিতীয়টি অর্থাৎ মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রাক্তন করার। সেই কাজ করে চলেছে। রবিবার মহিষাদল ব্লকের ইটামগরা-২ অঞ্চল বিজেপির কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এমনই মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন মহিষাদল ব্লকের ইটামগরা-২ গ্রামপঞ্চায়েত কাপাসএ্যাড়ায় বিজেপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে শুভেন্দুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা কিশান মৌর্চার সভাপতি বিশ্বনাথ ব্যানার্জি, বিজেপি নেতা সোমনাথ ভূইয়া, বিজন পানিগ্রাহীর সহ অন্যান্যরা।
এদিন শুভেন্দুবাবু আরও বলেন, এখন দেখছি রেশনের বস্তায় ইংরেজিতে ছোট করে লিখে বড় করে ঘটের ছবি দিয়ে তার নিচে বাংলায় খাদ্যসাথী লিখেছে। বোঝাচ্ছে রেশন বাংলার সরকার দিচ্ছে। এটা আমি করতে দেবো না। প্রতিবাদ জানিয়েছি। আগামীদিনে তা বন্ধ করবো। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচিনের বিষয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন শুভেন্দু।।
*৫১৪ বছরের প্রাচীন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর আগমন মহাৎসবে শুভেন্দু, হাঁটলেন শোভাযাত্রায়*
তমলুক* তমলুকের মহাপ্রভু মন্দিরে শুরু হল ৫১৪ চৈতন্য মহাপ্রভুর আগমন তিথি উপলক্ষে উৎসব। এদিন চৈতন্য দেবের মূর্তি সহকারে হরিনাম সংকীর্তন সহযোগে শহর পরিক্রমার মাধ্যমে উৎসব শুরু হয়। অসংখ্য ভক্ত খোল করতাল সহযোগে হরিনাম সংকীর্তন গাইতে গাইতে এই পরিক্রমায় অংশ নেয়।
ভক্তদের সাথে শোভাযাত্রায় সমিল হয় নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিন দিন ধরে চলবে এই আগমন তিথি উদযাপন উৎসব। তমলুকের প্রাচীন এই উৎসবে অসংখ্য বৈষ্ণব ধর্মাম্বলী ভক্তের সমাগম হয় মহাপ্রভু মন্দিরে। বস্ত্রদান, গীতা দান, ধর্মসভা পূজা পাঠ ও কয়েক হাজার ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ করা হয় এই উৎসবে। উৎসবের তিন দিনই চলবে ভক্তদের প্রসাদ বিতরণ।
*বাঙালি খাবারে মুগ্ধ, দুহাত দিয়ে চেটেপুটে খেলেন বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টার*
মহিষাদলঃ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির বিখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টার এলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলে। বাঙালি খাবারের মুগ্ধ হয়ে দুহাত দিয়ে চেটেপুটে খেলেন।অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটিতে গত চার বছর ধরে কাজে যুক্ত মহিষাদলের যুবক শুভ্রশঙ্খ দে। কর্মসূত্রে বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টারের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির সাথে খড়্গপুর আইআইটি কলেজের প্রযুক্তিগত চুক্তির ব্যাপারে এসেছিলেন। কাজ শেষে মহিষাদলের দে পরিবারে আসেন। দে পরিবারের গৃহকর্ত্রী ইলা দে নিজের হাতে বাঙালি খাবার রান্না করেন। মেনুতে রেখেছিলেন স্যালাড, নক্সা বড়ি ভাজা, বেগুন ভাজা, ভাত, রুটি,নারকেল কোরা দিয়ে মুগ ডাল, বিম আলু পোস্ত, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, খাসি মাংসের ঝোল,আমের চাটনি পায়েস। এই সব খাবার খাবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহে ছিলেন দে পরিবার কর্তা ভবেশ দে ও ইলা দে। কারন ছেলে শুভ্রশঙ্খ বলেছিলো বাঙালি খাবার তিনি খান না। তা সত্ত্বেও বাঙালি খাবার বানানো হয়। খাবার টেবেলে এসে তিনি বেগুন ভাজা, নক্সা বড়ি ভাজা থেকে চিংড়া,খাসি মাংস সবই দু হাত দিয়ে চেটেপুটে খেলেন। খাবারের তারিফ করেন। প্রথমে শেষ পাতের চাটনি খেতে না চাইলেও পরে তিনি চেটেপুটে খান এবং প্রসংশাও করেন। বাঙালি খাবারে মুগ্ধ হয়ে আগামীদিনে স্ত্রী এলিজাবেথকে সাথে নিয়ে আবারও আসার কথা জানান।
দে পরিবারের কর্তা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভবেশ দে এবং গৃহকর্ত্রী শিক্ষিকা ইলা দে। তাদের একমাত্র পুত্র শুভ্রশঙ্খ দে। গত চার বছর ধরে কর্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। কয়েকদিন আগেই ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছে। বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টার পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর আইআইটি কলেজে আসছেন বলে জানতে পারে শুভ্রশঙ্খ। শুভ্রশঙ্খও ডাক পায় খড়গপুর আইআইটি কলেজে। সেখানে নিজের বাড়ি মহিষাদলে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়।শুভ্রশঙ্খ এর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মহিষাদলে আসেন। প্রায় চার ঘন্টা কাটান। তার পর ফ্লাইট ধরে অস্ট্রেলিয়া ফিরে যান।
নিজের হাতের বাঙালি খাবার বিজ্ঞানী প্রফেসর স্টিফেন উইন্টার স্যারকে খাওয়াতে পেরে ভীষণ খুশি শিক্ষক দম্পতি ভবেশ দে ও ইলা দে।
নন্দীগ্রামের গোকুলনগর অধিকারী পাড়ায় বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হল কয়েকটি বাড়ি
পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামের গোকুলনগর অধিকারী পাড়ায় বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হল কয়েকটি বাড়ি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গোয়াল ঘরের ধুনুচির আগুন থেকে আগুন লাগে, পরে বাড়িতে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডার বাস্ট হয়ে পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা এতটাই ছিল পাশাপাশি আরও কয়েকটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। তবে মোট কয়টি বাড়ি ভষ্মীভূত হয়েছে এখনো পর্যন্ত সঠিক জানা যায়নি। এলাকার লোকজনের সাহায্য বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রনে।
*পথ দুর্ঘটনায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু,চাঞ্চল্য*
নন্দকুমারঃ হলদিয়া মেছেদা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। যাত্রীবাহী বাসের সাথে সাইকেল আরোহীর মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত্যু হল সাইকেল আরোহী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নন্দকুমারের খঞ্চির কাছে । জানা যায়, হলদিয়া মেছেদা একটি যাত্রীবাহী বাস মেছাদা থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল।
খঞ্চির কাছে হঠাৎ করে যাত্রীবাহী বাসটির সামনে সাইকেল চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজারে ধাক্কা মারে সাইকেল আরোহীকে, এরপর তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী। তবে পুলিশ সূত্রে খবর এখন পর্যন্ত মৃত্যু সাইকেল আরোহীর নাম ঠিকানা জানা যায়নি।পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেস্টা করছে।
*টোটো চালক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পাশে ছাত্রদল, খুশি দেবশ্রী*
কোলাঘাটঃ পরিবারের হাল ধরতে টোটো চালাতো কোলাঘাটের দেবশ্রী।এবছর সে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। টোটো নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার খবর ছড়িয়ে পড়ে। দেবশ্রী দারিদ্রতার কথা শুনে তার পাশে দাঁড়ালো কোলাঘাটের ছাত্রদল।
পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের দেবশ্রীর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালো পাঁশকুড়ার ছাত্রদল। সম্প্রতি কয়েকদিন আগে খবরের শিরোনামে উঠে আসা দেবশ্রী খাঁড়া। দু বছরের পড়াশোনার দায়ভার নিয়ে ছাত্রদল দেবশ্রী খাঁড়ার পাশে দাঁড়ায়। দরিদ্র পরিবারের ছোট মেয়ে দেবশ্রী খাঁড়া, এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয় তাঁর, টোটো চালিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের কোলা গ্রামের বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী দেবশ্রী খাঁড়া। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট গার্লস স্কুলের মাধ্যমিকের ছাত্রী দেবশ্রী খাঁড়া।
দেবশ্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল আজ শেষ হয় তাঁর পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হতেই টোটো নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রোজগারের চিন্তায়, আবার সন্দেহ হলে নিজের বাড়ির কাজ সামলায় দেবশ্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন নিজেই টোটো চালিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে খবর শিরোনামে উঠে আসে কোলাঘাটের দেবশ্রী। প্রতিটি পরীক্ষার দিনই এমনি করেই পরীক্ষার সেন্টারে আসত।দেবশ্রীর বাবা সনাতন খাঁড়া কিছু বছর আগে দুর্ঘটনায় পায়ে চোট পান, পায়ের মধ্যে লাগানো রয়েছে লোহার পাত।
যার ফলে তিনি ঠিক মতো চলাফেরা করতে বা গাড়িতে টানতে পারেন না তাই তার দায়িত্ব ভার নিজের কাঁধে তুলে নেয় তাঁর মেয়ে ১৭ বছর বয়সী দেবশ্রী। তার পরই মেয়ে দেবশ্রী পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এগিয়ে আসে। প্রায়শই কোলাঘাট বাজারে টোটো চালায় তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দরিদ্র পরিবারের ছোট মেয়ে দেবশ্রী খাঁড়া।
তবে দেবশ্রীর এই টোটো চালিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসায় বিস্মিত সাধারণ মানুষ থেকে বন্ধু বান্ধবেরাও।
*হলদিয়া শিল্পাঞ্চল লাগোয়া হোগলা বনে আগুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য, ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন*
হলদিয়াঃ সাঁজ সন্ধ্যায় শিল্প শহর হলদিয়ায় আগুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য।পাঁচটি দমকলের চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে ইন্দরামা কারখানায় পিছনে জঙ্গলে আগুণ। ঘটনা স্থলে ৫ টি দমকেলর ইঞ্জিন।প্রায় এক ঘন্টার চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব।তবে পাশেই কারখানা রয়েছে। যথা সময়ে দমকলের ইঞ্জিন না আসায় বড়সড় দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।আগুন লাগার কারন জানার চেস্টা করছে পুলিশ।
*স্কুলের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা এবং শিক্ষকদের দেখে নেওয়ার হুমকি ছাত্রের, শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ স্কুলে*
দিঘাঃ স্কুলে দেরিতে এসে স্কুলের ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় স্কুলের শিক্ষক বকাবকি করে। শিক্ষক বকাবকি করায় দেখে নেওয়ার হুমকিদেয় ছাত্রটি। কথা মতো শিক্ষকের রাস্তা আটকে মারধর করার চেস্টা করে স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র। অভিযুক্ত ছাত্রের শাস্তির দাবিতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় স্কুলের প্রাক্তন পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা।
এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা দেবেন্দ্রলাল জগবন্ধু উচ্চ শিক্ষা বিদ্যালয়ে। স্কুলের অংকের শিক্ষক নন্দগোপাল পাত্রকে স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র মুস্তাকিন তার দলবল নিয়ে শিক্ষকের পথ আটকে মারধর করে। জানাগিয়েছে ছাত্রটি স্কুলে দেরি করে আসায় এবং স্কুলের এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় নন্দবাবু প্রতিবাদ করেন।
তাই ছাত্রটি মাস্টারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, যার ভিডিও ভাইরাল হয়। পরবর্তীকালে ওই শিক্ষক যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখনই বহিরাগত লোকজন এনে গাড়িকে দাঁড়করিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে শুক্রবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে স্কুলে উপস্থিত হয় প্রাক্তন ছাত্ররা তাদের মূলত দাবি ছাত্রটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক এবং স্কুলের পরিবেশকে ফিরিয়ে আনা হোক।
বিক্ষোভে ফলে স্কুলে পুলিশ পোস্টিং করা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
Mar 06 2023, 18:14